কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৬ (বর্ণসংকেতঃ সাদা = ভাল, হলুদ =মোটামুটি ভাল, কমলা = সমস্যাসঙ্কুল, লাল = খারাপ, কালো = খুব খারাপ)
১৯৯০তে প্রথম মানবোন্নয়ন রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পর থেকে এই সূচকে ভারতের নিরন্তর পিছিয়ে থাকা নিয়ে মাঝে মাঝেই চায়ের কাপে তুফান ওঠে আমাদের আড্ডায়। সেরকমই এক তর্কে কথায় কথায় এক বন্ধু বলে বসলেন, “মানবোন্নয়নে এগিয়ে থাকা, পিছিয়ে থাকা— এসব হচ্ছে সূচকের খেলা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মাথাপিছু রোজগার, এ সবের সঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার, তথ্যের অবাধ অধিকার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এ সবের সূচক জুড়ে দাও, দেখবে ভারত তোমাদের চিন, কিউবা, ভিয়েতনাম কিম্বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে কত্ত পেছনে ফেলে দেবে।”
কথাটা খুব অযৌক্তিক ঠেকেনি তখন। হাজার হোক, ভোটার সংখ্যায় পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র। সাধারণ পাঠক হিসেবে, রাজনৈতিক নেতাদের “দাযিত্বহীন সংবাদমাধ্যমের উৎপাতে ক্রমশ দুর্বিসহ হয়ে ওঠা জীবন” – এর অন্তহীন অভিযোগ শুনতে শুনতে ধারণা হয়েছিল এই মাধ্যমটি সত্যিই স্বাধীন। আরেকটু দায়িত্ববান হলে, আর একটু কম ‘সেনসেশন’ খুঁজলে, আর একটু কম একপেশে হলে হয়তো আমার মনোমতো হত, কিন্তু এ দেশে প্রেসের স্বাধীনতা প্রশ্নাতীত। আপন হতে বাহির হয়ে এই ধারণার সত্যাসত্য খুঁজতে বেরোইনি কখনও। ছত্তীসগড়ের জঙ্গলে, শ্রীনগরের গলিতে, হাজার একটা বেআইনি কাজ হয়ে চলা আদিবাসী এলাকায়, উত্তর-পূর্ব ভারতের আনাচে কানাচে, সবখানেই কি এই কথাটা সমান সত্যি?
কৌতুহল মেটাতে কোথাও আলাদা করে খুঁজতে যেতে হল না। কেবল অন্তর্জালে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেই জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হল। সদ্য সদ্য, ২০১৬-র ২১ শে এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে ‘রিপোর্টারস উইদআউট বর্ডারস’ –এর ২০১৬ সালের ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স’। ১৮০ টা দেশকে নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে ১৩৩ নম্বর স্থানে আছে ভারত। এত নীচে কেন? কী কী দেখা হয় সূচকে?
সাতটা সূচকের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা। সেগুলি হল:
- বহুত্ব (Pluralism) – সব ধরনের মতামত সংবাদে প্রতিফলিত হয় কি না?
- সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা (Media independence) – রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সরকারি এবং বাণিজ্যিক প্রভাব ছাড়াই মাধ্যম নিজের মতো কাজ করতে পারে কি না?
- কাজের পরিবেশ এবং স্ব-নিয়ন্ত্রণ (Environment and self-censorship) – কাজের সাধারণ পরিবেশ,
- আইনি কাঠামো (Legislative framework) – দেশের আইন কানুন কতটা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেয় সংবাদমাধ্যমকে,
- স্বচ্ছতা (Transparency) – দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ,
- পরিকাঠামো (Infrastructure) – দেশের পরিকাঠামো সংবাদ সংগ্রহ এবং উৎপাদনে কতটা সহায়ক;
- শেষ সূচক সাংবাদিক উৎপীড়ন এবং হিংসা (Abuses) – কত জন সাংবাদিক উৎপীড়িত হয়েছেন, কী ভাবে, কত দিন ধরে ইত্যাদি।
প্রতিটি সূচক ০ থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে মাপা হয়ে থাকে। সম্পুর্ণ ইনডেক্সটি তৈরির জন্য আগে প্রথম ছ’টি সূচক নিয়ে স্কোর ‘এ’ তৈরি করা হয়। তারপর উৎপীড়নের সুচকটি সঙ্গে নিয়ে স্কোর ‘বি’ তৈরি হয়। স্কোর এ এবং বি এর মধ্যে যেটি বড়, সেটিকেই সেই দেশের সূচক বলে গণ্য করা হয়। এটা করার কারণ এই যে অনেক দেশে সংবাদ এত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত যে সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার করার প্রয়োজন থাকে না। তারা যেন সেই সুবাদে বেশি নম্বর না পেয়ে যায়। প্রথম ছ’টা সূচকের জন্য কুড়িটা ভাষায় একটা দীর্ঘ প্রশ্নপত্র অনলাইনে পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয় নির্দিষ্ট দেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, সমাজবিজ্ঞানীদের কাছ থেকে। সপ্তম সূচক ‘উৎপীড়নে’র তথ্য সংগ্রহ করেন সংস্থার নিজস্ব বিশেষজ্ঞরা।
২০১৬ সালের ইনডেক্সের প্রথম ১০টি দেশ হল
- ফিনল্যান্ড,
- নেদারল্যান্ড,
- নরওয়ে,
- ডেনমার্ক,
- নিউজিল্যান্ড,
- কোস্টা রিকা,
- সুইজারল্যান্ড,
- সুইডেন,
- আয়ারল্যান্ড এবং
- জামাইকা।
এ বছরের তালিকায় ১৩৩ নং দেশ ভারত নিয়ে প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সাংবাদিক এবং ব্লগাররা বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর দ্বারা আক্রান্ত, কাশ্মীর ইত্যাদি কিছু জায়গায় সংবেদনশীলতার অছিলায় সংবাদ সংগ্রহ করা দুরূহ। রাষ্ট্র সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে উদ্যোগী তো হচ্ছেই না, উল্টে সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে উৎসাহী। প্রসঙ্গত, ২০১৫-র প্রতিবেদনে ভারতের অবস্থান ছিল ১৩৬-এ। এবারে তিন ধাপ উঠেছে। প্রতিবেদনটি নেড়েচেড়ে মনে হল, সাংবাদিক উৎপীড়ন ভারতের পিছিয়ে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ।
সাংবাদিক উৎপীড়নের বিষয়টি মাঝে মধ্যে আলোচিত হয় সব মাধ্যমেই। বিশেষত যখন নির্বাচন ইত্যাদি বৃহৎ কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। কিন্তু মাত্রাটি সম্বন্ধে নির্দিষ্ট ধারণা সম্ভবত নেই সাধারণ পাঠক-শ্রোতা-দর্শকদের। এসব বড় কর্মযজ্ঞ মিটে গেলে সাংবাদিক উৎপীড়ন নিয়ে খুব একটা মাথাও ঘামায় না কেউ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর প্রকাশ করে আসছে গ্লোবাল ইমপিউনিটি ইনডেক্স বা বিশ্ব শাস্তিহীনতা সূচক। যে দেশগুলিতে সাংবাদিক উৎপীড়নে শাস্তি নেই বা কম, তাঁরাই অন্তর্ভূক্ত হন এই তালিকায়। সাম্প্রতিকতম সংস্করণটি ২০১৫ সালের শাস্তিহীনতায় সবচেয়ে খারাপ ১৪টি দেশ অন্তর্ভূক্ত হয়েছে এই তালিকায়। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৫ থেকে ৩১ অগস্ট ২০১৫ –র মধ্যে যে সব দেশে পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার কোনও কিনারা হয়নি, বা কেউ দোষী স্যবস্ত হয়নি, কেবল তাদেরই এরা অন্তর্ভুক্ত করেছে ২০১৫-র তালিকায়। নিহত সংবাদিকের সংখ্যা এবং জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী স্কোর তৈরি হয়। ভারত এ বছরের তালিকায় ১৪ নম্বরে ঠাঁই পেয়েছে। গ্লোবাল ইমপিউনিটি ইনডেক্স ২০১৫-র ১৪টি দেশের পাশে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৬ তে তাদের ক্রম এবং প্রাপ্ত নম্বর মিলিয়ে দেখা যেতে পারে। নীচের সারণিতে সেই চেষ্টাই করেছি।
গ্লোবাল ইমপিউনিটি ইনডেক্স ২০১৫ |
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৬ |
|||||
ক্রম |
দেশ |
শাস্তি না হওয়া মামলা |
জন সংখ্যা (লক্ষ)* |
স্কোর |
ক্রম (১৮০টি দেশের মধ্যে) |
স্কোর |
১ |
সোমালিয়া |
৩০ |
১০৫ |
২.৮৫৭ |
১৬৭ |
৬৫.৩৫ |
২ |
ইরাক |
৮৪ |
৩৪৮ |
২.৪১৪ |
১৫৮ |
৫৪.৩৫ |
৩ |
সিরিয়া |
১১ |
২২২ |
০.৪৯৬ |
১৭৭ |
৮১.৩৫ |
৪ |
ফিলিপিনস |
৪৪ |
৯৯১ |
০.৪৪৪ |
১৩৮ |
৪৪.৬৬ |
৫ |
দক্ষিণ সুদান |
৫ |
১১৯ |
০.৪২০ |
১৪০ |
৪৪.৮৭ |
৬ |
শ্রীলঙ্কা |
৫ |
২০৬ |
০.২৪২ |
১৪১ |
৪৪.৯৬ |
৭ |
আফগানিস্তান |
৫ |
৩১৬ |
০.১৫৮ |
১২০ |
৩৭.৭৫ |
৮ |
মেক্সিকো |
১৯ |
১২৫৪ |
০.১৫২ |
১৪৯ |
৪৯.৩৩ |
৯ |
পাকিস্তান |
২২ |
১৮৫০ |
০.১১৯ |
১৪৭ |
৪৮.৫২ |
১০ |
রাশিয়া |
১১ |
১৪৩৮ |
০.০৭৬ |
১৪৮ |
৪৯.০৩ |
১১ |
ব্রেজিল |
১১ |
২০৬১ |
০.০৫৩ |
১০৪ |
৩২.৬২ |
১২ |
বাংলাদেশ |
৭ |
১৫৯১ |
০.০৪৪ |
১৪৪ |
৪৫. ৯৬ |
১৩ |
নাইজিরিয়া |
৫ |
১৭৭৫ |
০.০২৮ |
১১৬ |
৩৫.৯০ |
১৪ |
ভারত |
১১ |
১২৯৫০ |
০.০০৮ |
১৩৩ |
৪৩.১৭ |
দু’টি তালিকা আলাদা পদ্ধতিতে আলাদা আলাদা সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তৈরি করেছে। কিন্তু মোটামুটি ভাবে প্রাপ্ত স্কোর একে অপরকে সমর্থন করে। যে সব দেশ ‘ইমপিউনিটি ইনডেক্সে’ স্থান পেয়েছে, তারা ‘প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে’ পিছিয়ে। তালিকাভুক্ত দেশগুলোর অর্ধেকের বেশি গণতান্ত্রিক। এদের বিচারব্যবস্থাও সুপ্রতিষ্ঠিত। তা সত্ত্বেও গত দশ বছরের মোট সুরাহা না হওয়া সাংবাদিক হত্যার ৮৩ শতাংশ এই ক’টা দেশেই। এই ১৪টির মধ্যে ন’টি দেশ ২০০৮ সালে এই তালিকা প্রথম প্রকাশিত হবার পর থেকেই অন্তর্ভূক্ত হতে থাকছে প্রতি বছর। হত সাংবাদিকদের ৯৬ শতাংশই স্থানীয়। প্রত্যেক দেশের নিহত সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ আছে এই কমিটির ওয়েবসাইটে। ১৯৯২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ভারতে ৩৮ জন সাংবাদিক নিশ্চিত ভাবেই পেশাগত কারণে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও আছেন, আরও ২৩ জন সাংবাদিক যাদের নিহত হবার কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত নয় কেউ (https://cpj.org/killed/asia/india/)।
রিপোর্টগুলো নাড়াচাড়া করতে করতে বেশ ভয় ভয় করছিল। এদেশে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে যে সব পেশার মানুষের সঙ্গে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা সখ্য রাখতে উৎসাহী, সেই তালিকায় প্রশাসক, আইনজীবী, পুলিশ, চিকিৎসকদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও থাকেন। “ওমুক কাগজের বা ওমুক চ্যানেলের তমুক আমার বন্ধু” এ তথ্যটা বেশ জাঁক করে প্রকাশ করে থাকেন সাধারণ মানুষ। সেই পেশার এত জন আমাদের এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিহত হবার পরেও বিচার পাননি, সেটা দুশ্চিন্তার। যে দু’টি সংস্থা প্রতিবেদন দু’টি প্রকাশ করেছেন,তাঁরা মনে করছেন না আমাদের রাষ্ট্র এ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। একটি সংবাদে দেখছি প্রিন্ট মিডিয়া যারা নিয়ন্ত্রণ করে, সেই প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া সাংবাদিক হত্যায় রাষ্ট্রীয় উদ্বেগহীনতার প্রতিবাদ জানাবে প্রতি বছর ২ নভেম্বরে, দু’মিনিটের জন্য সমস্ত সংবাদ প্রচার বন্ধ করে। তাদের হিসেব অনুযায়ী, গত দু’দশকে ভারতে ৮০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে এবং কারুর শাস্তি হয়নি এযাবৎ। তারা মনে করছে, এই শাস্তিহীনতার একটা বড় কারণ সাংবাদিক হত্যার অপরাধকে আলাদা আইনি গুরুত্ব না দেওয়া (http://timesofindia.indiatimes.com/india/PCI-for-two-minute-silence-in-newsrooms-on-November-2/articleshow/48536066.cms)।
তার চেয়েও বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হল সমস্ত বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের অদ্ভুত নীরবতা। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৬ প্রকাশিত হবার কথা আন্তর্জালে না খুঁজলে জানতেই পারতাম না। নামী কাগজগুলির মধ্যে কেবল ‘ডেকান হেরাল্ড’ এই রিপোর্টে কথা উল্লেখ করেছে। অন্য দেশের তুলনায় ভারতের অবাধ সংবাদমাধ্যমের সূচকে পিছিয়ে থাকা নিয়ে কোনও টিভি চ্যানেলে উল্লেখ নেই, তর্কাতর্কি নেই, কোন তেজি অ্যাঙ্কর গলা ফাটাচ্ছেন না এ সব নিয়ে। গ্লোবাল ইমপিউনিটি ইনডেক্স ২০১৫ বা তার আগের বছরের সংস্করণগুলির কথাও কোথাও দেখেছি বা পড়েছি বলে মনে করতে পারছি না। এটা না থাকার মূল্য কাদের দিতে হচ্ছে, তাই নিয়েও কিছু জানিনা আমরা! আহার-নিদ্রা-ভরতুকি তৃপ্ত মধ্যবিত্তরা দিচ্ছেন না অবশ্যই।
শিনা বরা কিম্বা নির্ভয়া, কিম্বা মৃতদেহ আগলে বসে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ সংবাদমাধ্যমে যে গুরুত্ব পান, সত্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে প্রাণ খোয়ানো সাংবাদিক সেটা পান না কেন? এ বিষয়ে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদব্যক্তিত্ব রাজদীপ সরদেশাইর এই মন্তব্যটি সঠিক কিনা জানি না, কিন্তু প্রণিধানযোগ্য। ইচ্ছা করেই অনুবাদ করা থেকে বিরত থাকলাম। “There is little solidarity among journalists. There is ‘outrage’ over the most banal issues but not for journalists who are killed, particularly outside the big cities………………Journalists have been their own worst enemy, They are ridden with internal rivalries and some of them have even become blackmailers. Then there are those that have allied themselves to corporate houses or political parties………..” (http://www.thequint.com/india/2015/06/22/two-journalists-killed-in-a-month-why-are-we-silent)
কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে? আমরা সবাই।
Comments (3)
-
-
লেখাটি পড়ার জন্য দীপকবাবুকে ধন্যবাদ। সূচক নিয়ে আমি যে খুব বিশদ ব্যাখ্যা দিতে পারবো এ বিশ্বাস নেই তবে RSF কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা জানাবেন বলে আমার বিশ্বাস। তবে প্রশ্নপত্র এবং সূচকের কাঠামো দেখে মনে হয়েছে যে প্রথম সূচকটির ক্ষেত্রে কোনো একটি বিশেষ সংবাদ পত্র বা মাধ্যমের কথা বলছেন না ওঁরা; সব ধরনের মাধ্যম মিলেই সংবাদের পরিবেশনের পরিবেশটি কী সেটা যাচাই করার চেষ্টা করছেন? তৃতীয় সূচকের ক্ষেত্রেও সম্ভবত কাজের পরিবেশের কথা বলা হচ্ছে। কতটা স্বাধীন ভাবে সত্যকে পরিবেশন করতে পারেন একজন সাংবাদিক। এ বিষয়েও প্রশ্নপত্রটি দেখলে কোনো অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী আমার থেকে ভালো বুঝবেন বলে আমার ধারনা। সংবাদ মাধ্যমে কখনো কাজ না করার ফলে আমার অনেক ব্যাপারেই সীমাবদ্ধতা আছে। সংবাদ উপভোক্তা হিসেবে যে প্রশ্ন গুলো মনে হয়, সেগুলোই এখানে রাখি, যাঁরা জানেন তাঁদের কাছ থেকে বোঝার আশায়।
-
উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিলীপবাবু। বিভিন্ন দেশের গঠন, প্রকৃতি আর পরিস্থিতি এত আলাদা যে একই সূচককে বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমকে যাচাই করা অসম্ভব বলেই মনে হয়। আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
-
-
দিলীপবাবু লেখাটি পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ এমন একটি ভয়ের তথ্য সামনে আনার জন্য। আমার শুধু কয়েকটি প্রশ্ন আছে মাপকাঠি নিয়ে। মানে সাতটি সূচক নিয়ে। এক, দুই করে আলোচনা করা যাক। সূচক এক— সব ধরনের মতামত সংবাদে প্রতিফলিত হয় কি না? আমার প্রশ্ন, বাস্তবে সত্যি হওয়া সম্ভব কি না? ভারত এবং কিঞ্চিৎ বাংলাদেশের কাগজ-ওয়েবসাইটগুলি নাড়াচাড়া করতে হয় নিয়মিত। তাই জানি, সম্ভব নয়। কারণ প্রত্যেক কাগজ বা ওয়েবসাইট নিজেদের লাইনে খেলে। সেখানে অন্য মত প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব? সূচক তিন— কাজের পরিবেশ। ব্যক্তি সাংবাদিকের? না সংবাদগোষ্ঠীর? অফিসে না সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে? বাকি সব সূচকের সঙ্গে না হয় সহমত হওয়া গেল।